বিশেষ প্রতিনিধি।। কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর।
ব্রীজ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
অতিবৃষ্টিতে পানিতে ডুবে থাকা গ্রামীন কাঁচা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় মানুষজন মারাত্মক বিপাকে পড়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এদিকে, দুধকুমার ও তিস্তার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা এখনো বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় সদ্য রোপন করা আমন ধানের চারা সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাছাড়াও বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং অতিবৃষ্টিতে পানিতে ডুবে থাকা গ্রামীন কাঁচা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফলে গ্রামগঞ্জের মানুষজন মারাত্মক বিপাকে পড়েছে। নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বেশ কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সামছুল আলম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও ঘর-বাড়িতে পানি উঠেনি। যদি এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়বে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে ধরলার পানি কমতে শুরু করবে বলে আসা করেন। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।