রাঙা প্রভাত অনলাইন ডেস্ক।। দেশে ইলিশ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুদ করার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে রোববার মধ্যরাত থেকে। এ সময় ভারতে ইলিশ রফতানিও বন্ধ থাকবে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা।
নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে রফতানির শেষ দিনে রোববার সারাদিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে আরো ১৭২ টন ৪৯০ কেজি ইলিশ রফতানি করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার সাইফুর রহমান মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর রাত ৯টা পর্যন্ত মোট এক হাজার ১০৮ টন ২৮০ কেজি ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে।
বাংলাদেশি ২০ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ইলিশ মাছ রফতানি করার জন্য চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় আইজিএম (গেটপাস) করেছেন। ইলিশের ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছালে বেনাপোল মৎস্য অধিদফতরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নমুনা পরীক্ষা করে তা রফতানির অনুমতি দেন।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, রোববার ভারতে ইলিশ রফতানির শেষ দিন ছিল। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট এক হাজার ১০৮ টন ২৮০ কেজি ইলিশ রফতানি হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে ভারতে কোনো ইলিশ রফতানি করা যাবে না।
ইলিশ রফতানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রফতানির কথা থাকলেও বাজারে ইলিশ সঙ্কট থাকায় আপাতত বন্ধ থাকছে। ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে সরকারের কাছে আবার আবেদন করা হবে। অনুমতি পেলে বাকি ইলিশ ভারতে রফতানি করা হবে।
শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ১১৫টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ধরা হয়েছিল ১০ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৮৫০ টাকা প্রায়। ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এসব চালান রফতানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এ পরিমাণ ইলিশ রফতানির নির্দেশনা থাকলেও পরে সেটা কমিয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে রফতানিকারকরা দেশের বাজারে বা মোকামে ইলিশ পাবে না। ফলে এ সময় ভারতে ইলিশ রফতানি করাও সম্ভব নয়।