বিশেষ প্রতিনিধি।। কুমিল্লা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল এবং আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা নিহত হয়েছেন।
সোমবার ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথুরীয়াপাড়া পানুয়া খানকা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আইসিইউতে তাদের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আরো অন্তত ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।
তারা হলেন আওলাদ হোসেন রাজু, মো. জুয়েল, মো. রাসেল ও হরিপদ সাহা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।
হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য চারটি গুলি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। হরিপদের গুলি লেগেছে বুকে ও পেটে। অন্য আহতরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে এসে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায় তাদের দিকে। এ ঘটনায় ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি বলেন, সুমন, শাহ আলমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলি করে কাউন্সিলর সোহেলের ওপর এ হামলা চালিয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ সুজানগর পূর্বপাড়ার কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।