২০০৪ সালে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা
বরিশাল :- তৎকালীন বিরোধী দলীয় সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সব অসামিকে খালাস দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জেলা জজ আদালতে আপিল মামলাটি দায়ের করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর।
আপিলের আবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, ২৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে মাত্র ছয় জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণসহ একাধিক কারণে রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায়বিচার পায়নি।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলাম আপিলটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ নবেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বরিশাল-১ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ এম জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলম বিপ্লব, মিজানুর রহমান খান মুকুল, শরীফ জহির সাজ্জাত হান্নান, বদিউজ্জামান মিন্টু, আব্দুল আউয়াল লোকমান ও আমজাদ হোসেন ঝিন্টু। তারের সকলের বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়।
সূত্রমতে, বিএনপি ও জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বরিশাল সফরকালে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছামাত্র আসামিরা তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এর আগে আসামিদের হামলায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহ এবং ওলামা লীগের সভাপতি হাফেজ নুরুল হক গুরুত্বর আহত হন। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ স্থানীয় বিএনপি দলীয় সাংসদের প্রভাবে মামলা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ২০ জুলাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হাফিজ মৃধা গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মে সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপনসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে। ওইসময় ২৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শিহাবুল ইসলাম আসামিদের খালাস প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় ন্যায় বিচার পরিপন্থী হওয়ায় পূর্ণ বিচারের জন্য আপিল করা হয়েছে।