পালং শাকে সারতে পারে কঠিন যে সব রোগ
শীত আসতেই বাজারে উঠেছে পালং শাক। এ সময়ে প্রায় প্রতিদিনই সবার বাড়ির মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজে থাকে পালং শাকের নানা পদ।
বিশেষ করে বেগুন, কুমড়ো দিয়ে মরিচ ঝোল তো মাঝেমধ্যেই হয়ে থাকে। কিন্তু প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ এবং সি যুক্ত এই শাক রোজ রোজ খেতে ইচ্ছা হয় না অনেকেরই। সে কারণেই জানা দরকার, কত দিক দিয়ে শরীরের যত্ন নিতে পারে এ শাক
নিয়মিত পালং শাক খেলে বেশ কয়েকটি কঠিন রোগ থেকে মুক্ত রাখা যায় নিজেকে। কোন কোন রোগ দূরে থাকে পালং শাক খেলে?
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পালং শাকে উপস্থিত আছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা শরীরকে ক্যানসারমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যানসার রোধে এ শাক খুবই কার্যকর।
আরও পড়ুন: এলাচপানির এত গুণ?
২) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন? তা-ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এ শাকের বিভিন্ন উপাদান।
৩) সর্দি-কাশি লেগেই থাকে? শীতকালে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে নজর দিতে হয় শরীরের দিকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই ভালোভাবে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
৪) পালং শাকে রয়েছে লুটিন আর কেরোটিনয়েড। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে এ দুটি উপাদান খুবই কার্যকর।
৫) হিমোগ্লোবিন কমে গেলেও সাহায্য করতে পারে পালং শাক। পালং শাকে উপস্থিত ফোলেট খুবই দ্রুত বাড়াতে পারে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।
৬) শরীরে বিভিন্ন গাঁটের বা জয়েন্টের রোগ নিরাময়ে পালং শাক খুবই কাজ দেয়। তার মধ্যে যেমন আরথ্রাইটিসের মতো সমস্যাগুলোতে পালং শাক উপকারী। তা ছাড়াও বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ইত্যাদির ঝুঁকি কমায়।
৭) এতে থাকা পটাশিয়াম, ফলেট এবং অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট যদি প্রতিদিন শরীরে যায়, তা হলে মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পটাশিয়ামের দৌলতে মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। সুতরাং পালং শাক স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।
৮) বিশেষজ্ঞের মতে, পরিমাণ মতো ও নিয়মিত পালং শাক খেলে তার মধ্যে থাকা খাদ্যগুণের ফলে কিডনিতে পাথর থাকলে, তা গুঁড়ো হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রীকা