বিশেষ প্রতিনিধি।। নব্য ঘরানার প্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন এখন বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। শুধু একক গ্যাজেট নয়, বরং বহু কাজ করা যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি পুরোনোকে পেছনে ফেলছে। স্মার্টফোনের ব্যবসাও প্রতিনিয়তই গতি-প্রকৃতি বদলে ফেলছে।
স্টিভ জবস দেড় দশক আগে তিনটি নতুন পণ্যের কথা জানিয়েছিলেন। মিউজিক প্লেয়ার, স্মার্টফোন (টাচফোন) আর ইন্টারনেট যুক্ত অতীব জরুরি যোগাযোগ যন্ত্রের কথা। অ্যাপলপ্রধান স্টিভ জবস যখন নতুন পণ্যের দিকদর্শন উপস্থাপন করেছিলেন, সবাই তখন চমকে গিয়েছিলেন। খানিকটা থমকেও গিয়েছিলেন! তখন সবাই ধারণা করেছিলেন, স্টিভ জবসের ঘোষণা করা তিনটি পণ্য আসলে একটিই মাত্র পণ্য। আর তা হচ্ছে ‘আইফোন’! বলতে গেলে, অসাধারণ বিস্ময়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা করল নতুন ঘরানার প্রযুক্তি যুগ।
কিন্তু স্মার্টফোন এখন আর ‘নব্য প্রযুক্তির’ সূচক নয়। সময়ের কলেবরে তা অনেকটাই পুরোনো। নতুন প্রজন্ম যেন আরও আধুনিক কিছু খুঁজতে মরিয়া। গবেষণা সূত্র বলছে, স্মার্টফোন প্রযুক্তি কিছুটা সীমার পরিসরে আটকে গেছে। মানুষ তাই স্মার্টফোনের পেছনে কম ছুটছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলোয় প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন এখন সরব। নতুন করে স্মার্টফোন বিক্রির জায়গাও কমে আসছে। ফলে প্রযুক্তি উদ্ভাবকরা ডুবেছেন নতুন ভাবনায়।
যা আগে স্মার্টফোনে সম্ভব ছিল। তবে তার চেয়েও আরও আধুনিক, আরও জটিল নতুন কোনো প্ল্যাটফার্মের কথা ভাবছেন উদ্ভাবকরা। নতুন সম্ভাবনা ‘অগমেন্টেড রিয়েলিটি’ বা ‘এআর’। বিশেষ এক ধরনের চশমা। যার মাধ্যমে বাস্তব জগতের সঙ্গে কম্পিউটার গ্রাফিক যুক্ত হয়ে হবে নতুন অভিজ্ঞতা। এআর প্রযুক্তির সহায়তায় কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাস্তব জগতের বস্তু ও মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পারবেন। চশমার মাধ্যমে আলাপচারিতা, আবহাওয়ার খবর, স্বাস্থ্যবার্তা ছাড়াও দিনের নানা কাজও সেরে নেওয়া যাবে। কিন্তু এ ধরনের চশমা বাণিজ্যিকভাবে আসতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল আর মেটা ভার্সের মতো প্রতিষ্ঠান ভিআর বা এআর হেডসেট তৈরি বা বিপণনে কাজ করছে। গবেষকরা বলছেন, এখন অবধি ভিআর বা এআর হেডসেটের বাজারটি খুবই সীমিত। অচিরেই মূলধারার প্রযুক্তিপণ্য বাজারে নব্য ঘরানার ‘এআর’ গ্যাজেটের আবির্ভাব হবে।