রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা যদি ইচ্ছাকৃত কিছু করে থাকে, অবশ্যই সেই অনুযায়ী শাস্তি পাবে।
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসারের (২২তম ব্যাচ-পুরুষ) মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে ফায়ার সার্ভিস ঘণ্টা বাজিয়ে বাজিয়ে আগুন নেভার পর ঘটনাস্থলে যেত। পরবর্তীতে আমরা প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন করেছি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সময়োপযোগী যন্ত্রপাতি এনে দিয়েছি।
নবীন ব্যাটালিয়ন আনসারদের ২২ তম ব্যাচের (পুরুষ) ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় আজ। কুচকাওয়াজের শুরুতেই প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি সুসজ্জিত খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীরা ৬ সারিতে মার্চ করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১২ বছরে আনসার বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাহসিকা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ৫ম গ্রেডে পদ সৃজন এবং মহাপরিচালকের পদটি প্রথম গ্রেডে উন্নীতকরণ, অন্যান্য পদের মানোন্নয়ন ও কর্মকর্তাদের বৈশ্বিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশিক্ষকদেরকে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ১৫টি ব্যাটালিয়ন সদরে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে মডেল ব্যাটালিয়নের রূপ দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়াধীন। বিভিন্ন রেঞ্জ, জেলা-উপজেলাতে মডেল রেঞ্জ, জেলা ও উপজেলা অফিস নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাহিনীর সকল সদস্যদের কল্যাণের জন্য ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য ৪০টি অস্ত্রাগার নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, কমান্ড্যান্ট, উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন), উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস)-সহ সদর দপ্তর ও একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
৪৪২ জন নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার ৬ মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেন। প্রধান অতিথি কৃতী ও চৌকস প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। এবার মৌলিক প্রশিক্ষণে সাগর আলী শ্রেষ্ঠ ড্রিল, শরিফুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং মো. গুলজার আলী চৌকস প্রশিক্ষণার্থী ব্যাটালিয়ন আনসার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন।