বিশেষ প্রতিনিধি।। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূ মাহমুদা খাতুনের বাবা হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে ননদ আছিয়া বেগমকে গ্রেফতার করে।
এদিন দুপুরে গ্রেফতার আছিয়া বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রফিকুল ইসলাম। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মাহমুদা খাতুন গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকার হামিদুল ইসলামের স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেকতীবাড়ি এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে হামিদুল ইসলামের। বিয়ের পর থেকে স্বামীর পাশাপাশি তার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছে তার।
এর জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর আতোয়ার রহমান ও শাশুড়ি হামিদা বেগমের সহযোগিতায় তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর বাবার। এতে ঝলসে যায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গৃহবধূ মাহমুদা বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। আমাকে একা পেয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এসিড দেন আমার শরীরে। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
এতে প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে এখন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে আহত গৃহবধূর অবস্থা দেখেছি। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে ওই গৃহবধূর বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ননদ আছিয়া বেগমকে গ্রেফতার করেছে।