বিশেষ প্রতিনিধি।। নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর একসাথে বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবনে স্ত্রী মারা যাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর স্বামী ওমর ফারুকেরও (৩২) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে মৃতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
ওমর ফারুক উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর মহল্লার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণের চাপে ফল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ও তার ছোট স্ত্রী বিথী শুক্রবার সকালে হালদার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে তারা দু’জন একসাথে পাশেই কালিকাপুরে ফারুকের পৈত্রিক বাড়িতে যান। সেখানে স্বজনরা বুঝতে পেরে তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে এবং পরে রাজশাহী নেয়ার পথে বিথী আক্তার মারা যান। ওমর ফারুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী বেসরকারি নিউ লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু আইসিইউয়ের মোটা অঙ্কের খরচ যোগাতে না পারায় স্বজনরা রাতে বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, উপজেলার সংগ্রামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শাবনুর খাতুন (২৩) নামের আরেক গৃহবধূ ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
শাবনুর ওই গ্রামের চাঁদ মিয়ার স্ত্রী। তার চার বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। তবে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
শাবনুরের বাবা আলম হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের দু’পা মাটিতে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল, এভাবে কেউ মরতে পারে না। আমার মেয়েকে তারা হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, দু’জনের লাশেরই ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে।