প্রচন্ড বেঁচে ওঠা
– উম্মে হাবিবা ফারজানা
বেড়ে উঠতে হবে যে দুরন্ত গতিতে!
পাশের মানব থেকে দ্রুত এগুতে হবে!
অন্যের জানালায় চোখ পাততে গিয়ে আঁখি ক্লান্ত।
একটু অবসর পেলে নিজের মত করে
একটু জিরিয়ে নেয় নয়ন দুটো।
সময় রইলো কই আর, নিজেকে দেখবার?
এক আধবার আয়নার সামনে দাঁড়াই বৈকি!
পোশাকটা মানিয়েছে কিনা,
চামড়ায় বলিরেখা এলো কিনা এইসব সন্ধান করি।
দেহকে ভেদ করে আত্মাকে দেখার মত আয়না আমার নেই,
বাজারে কিনতে পাওয়া গেলে একটা অর্ডার করে দিতাম বাপু!
নিরন্তর গতিতে এতোসব মাতামাতির মধ্যেই-
হঠাৎ একদিন চোখ পড়লো নিজের দিকে নিজের!
নিজের অবয়ব দেখে আঁতকে উঠলাম !
আমার চোখের সামনে দিয়ে এতটা বদলে গেছি আমি!
চশমা হটিয়ে ভেদ করতে চাইলাম আত্মাকে।
শুনেছি পান পাতার মত নাকি দেখতে হয় হৃদয়
কিন্তু আত্মার কোন আকার পেলাম না !
পরে রঙ খুঁজতে লাগলাম তার,
একসময় টিয়া পাখির মত রঙ ছিল ওর!
ধীরে ধীরে সবুজ থেকে হলদে সবুজে বদলে যায়।
এরপর জানিনা কেন, বেগুনি হয়ে যেতে থাকে আচমকা,
ওজোন স্তর ফুটো হয়ে যেমন অতি বেগুনি রশ্মির আধিক্য এই ধরায়,
অনেকটা তেমনই।
নতজানু হয়ে ক্ষমা চাই ওর কাছে!
সেই তো একদিন এই প্রাণহীন দেহকে সচল করেছিল!!
অথচ এই দেহের ভেতরেই তাকে সুরক্ষা দিতে পারিনি আমি।
যেমন এই ধরিত্রীকে সুরক্ষা দিতে পারিনি আমরা!
একেকটি মানবদেহের মাঝেই বিরাজ করছে একেকটি পৃথিবী।