কেএম সোহেব জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি।। বাবুগঞ্জে সহকারী শিক্ষা অফিসার সহ একাধিক শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের খেয়াল খুশি মত দূর্নিতী ও অনিয়মের মহোৎসবের মধ্য দিয়ে স্কুল চালাচ্ছে এ সকল শিক্ষকরা। সড়জমিনে তদন্তে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি সাড়া মিল্লে, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লেখিত অভিযোগ দায়েরের করেও দীর্ঘদিনে কোন সুফল দেখতে পান নাই বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল আহম্মেদ আজাদ।
অবশেষে বিচারের দাবিতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাদ।
তিনি (আজাদ) জানান, সম্প্রতি বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ৯২ নং লামচর ঘোষকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ একাধিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মৌখিক অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান বাবুগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ। প্রধান শিক্ষক রমা রানী বিশ্বাসের কাছ থেকে হাজিরা খাতা নিয়ে দেখেন ২৭,২৮,২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নাই প্রধান শিক্ষক রমা রানীর। ভাইস চেয়ারম্যান আজাদের সামনে প্রধান শিক্ষক রমা বহাল তবিয়তে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২৭,২৮,২৯ তারিখের অনুপস্থিত হাজিরা গুলির উপস্থিতি স্বাক্ষর করেন।
এবং সহকারী শিক্ষক গৌতমকে বিদ্যালয় অনুপস্থিত দেখেন। শিক্ষক গৌতম বিদ্যালয়ে না এসে তার ঢাকার মোবাইলের দোকানের ব্যাবসায় ব্যাস্হ থাকেন বলে একাধিক সুত্রে জানতে পান চেয়ারম্যান আজাদ।
এবং প্রতি মাসের শেষের দিকে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করে তার ব্যাবসা প্রতিষ্টান ঢাকায় চলে যান শিক্ষক গৌতম। এবং যথাযথ ভাবে সহকারী শিক্ষা অফিসারের সহয়তায় বেতন তুলে নেন তিনি ( গৌতম) এমনটিই জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিউলি বেগম।
তারা আরো বলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মনিরুল হককে ম্যানেজ করে তার সহোযোগিতায় দীর্ঘ দিন ধরে গৌতম হাজিরা খাতার অনুপস্থিত সইকে উপস্থিতি করে আসছেন।
ওই বিদ্যালের পাশ্ববর্তী একাধিক লোকজন বলেন,স্কুল কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক রমা রানী ও শিক্ষক গৌতম এরা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় এদের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্চেননা ওই এলাকার লোকজন।
প্রধান শিক্ষক রমারানী নিজকে গোপাল গঞ্জের দাবি করে দাপটের সঙ্গে বহাল তবিয়তে চাকুরি করে আসছেন এবং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেননা তিনি।
অপর দিকে শিক্ষক গৌতম বাবুগঞ্জ হিন্দু কমিউনিটির বড় নেতা পরিচয় দিয়েও বহাল তবিয়তে স্কুলে না এসে সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে চাকুরী করে বেতন ভাতা নিচ্ছেন।
এই অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ স্হানীয় সংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপুকে জানালে সাংসদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লেখিত দরখাস্ত দেয়ার পরামর্শ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইকবাল আহম্মেদ আজাদের সাথে দুরব্যাবহার করেন প্রধান শিক্ষক রমা রানী।
সাংসদের কথিত মতে চেয়ারম্যান আজাদ ওই দুই কর্মকর্তার কাছে তাদের অনিয়ম ও দূর্নিতী সম্পর্কে লেখিত দরখস্হ দিয়েও দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও কোন সুরাহা পায়নি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ এমনটিই জানিয়েছেন তিনি।
তাই অতিদ্রুত এই দূর্নীতি বাজ শিক্ষক সহ জড়িতদে কঠর শাস্তির দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ইকবাল আহম্মেদ আজাদ সহ স্হানীয় সচেতন মহল।।