পুঁথি পাঠ।। মুহাম্মদ সাঈদ
পানপাত্র সরিয়ে রেখোনা কারো কুমন্ত্রণায়
যন্ত্রনা দিওয়া যন্ত্র মানবীর মত! শহর,বন্দর,লোকালয়
অনুভূতিহীন করোনা সময়ের সাহসী ডানা,অনিশ্চিত যাত্রায় নিশ্চিত ফিরবই ফিরতি পূর্ণিমায়
শুনবোনা কারো মানা!
যারা চলে যাবে, চলে যেতে দিও। যেখানেই যাক-
পুঁথিপাঠে প্রাকৃতজন চাই- অহরহ অবার্চীন হয়ে কেউই না আসুক সহসাই-এই জনপদে
মুঠোবদ্ধ পরিচয় নাইবা হলে পরিচিতা!সাধ আহ্লাদে
পুথির মর্ম ক’জনাই বোঝে, বিরতিহীন পাঠে?
নিতম্ব দুলিয়ে নাচো উতলা ভরাট শ্রাবণে,জোয়ার আসুক-বানের জলে ভেসে যাক যৌবতী যোনি
মহার্ঘ ভাতায় নাইবা কিনলে পরজনমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কার,পরিচিত কেউই উদোম করলো বাহুবন্ধনী-শেষরাতে আরাধ্য পৌরুষে জেগে!
সমাপ্তিকালে পরিতৃপ্তির হাসি দেবে নিশ্চিত জানি-
অধীর অপেক্ষায় রেখে বনতরু কিংবা ক্যাকটাস
পরিনতি যাইহোক- শূন্য উঠোন আঙিনায়
জুড়ে থাকবে পিতলের পানপাত্র, মন্দিরা, শ্লোক
যখন যেভাবে খুশি বারবার গিলে নিও ঢোক।