কে এম সোহেব জুয়েল : আদলতে মামলা করায় স্ত্রীকে সু- কৌশলে মুঠোফোনে ডেকে এনে লঞ্চে তুলে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পালিয়েছেন স্বামী সফিকুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ মার্চ ( মঙ্গলবার) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেরে যাওয়া এডভ্যানসার লঞ্চের কেবিনে।
সফিকুলের স্ত্রী মিতুর মামা জামাল খাঁন জানান গত ৫/৬ মাস পুর্বে তার বোনের মেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চর হোগলপাতিয়া গ্রামের ভ্যান চালক কবির চৌকিদারের কন্যা মিতুকে ৩ লক্ষ টাকা মহারানা ধার্য করে কাবিন রেজিষ্টারের মাধ্যমে বিবাহ করেন পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সরিকল গ্রামের ফল বিক্রেতা সহিদ খানের পুত্র সফিকুল ইসলাম ২২।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য জালাতন করতেন যৌতুক লোভী স্বামী সফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন ।সফিকুলের দাবিকৃত যৌতুক স্ত্রী মিতুর অসহায় পরিবার থেকে না পাওয়ায় নিজকে আড়াল করেন সফিক। এ নিয়ে একাধিক বার বসাবসি করেও কোন সমাধান মিলাতে না পেরে সম্প্রতি বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে স্বামী সফিকুল ও তার পিতা সহিদ খানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী মিতু। এতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে স্বামী সফিকুল ক্ষুদ্ব হয়ে গত ১৯ মার্চ মঙ্গলবার স্ত্রী মিতুকে মুঠো ফোনে ডেকে সু- কৌশলে বরিশালে আনেন লম্পট স্বামী সফিকুল। স্ত্রী মিতুকে নিয়ে সংসার করবে বলে বুঝিয়ে আস্বস্ত করে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেরে যাওয়া এডভ্যানসার লঞ্চের কেবিনে তুলেন এবং মামলা তুলে নেয়ার কথা বলেন মিতুর স্বামী সফিকুল। এ নিয়ে দু জনার মধ্য বাক বিতান্ডার এক পর্যায় মিতুকে এলোপাতাড়ি মারধর ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রুদ্র করে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় লম্পট স্বামী সফিকুল।
মিতুর ডাক চিৎকার লঞ্চের লোকজন ছুটে আসলে হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিজ জীবন নিয়ে লঞ্চ থেকে পালিয়ে যায় লম্পট সফিক।
মিতুকে স্হানীয় লঞ্চ যাত্রীরা মুমুর্শ অবস্থায় উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
এ বিষয় সফিকুলের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা আইনে মামলা করার কথা জানিয়েছেন মিতুর পরিবারের লোকজন।