রাঙা প্রভাত ডেক্স: নারীসঙ্গ উপভোগ করেই পুরো রাজ্যকাল পার করেছেন এক রাজা। বৈভব আর রাজকীয় অর্থ নয়-ছয়ের ইতিহাসে আজও কুখ্যাতই রয়েছেন রাজস্থানের ভরতপুরের রাজা কিষণ সিংহ।
শুধু বৈভব বা অর্থ নয়-ছয় করা নয়, রাজা কিষণ সিংহ যেভাবে এসব করতেন, তার জন্য আজও তাকে ধিক্কার দেন রাজস্থানবাসী। রাজা কিষণ সিংহের জন্ম ১৮৮৯ সালে । দেওয়ান জারামানি দাসের লেখা বই থেকে রাজা কিষণ সিংহের নারীসঙ্গের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায়, রাতের অন্ধকারে সুইমিং পুলে নগ্ন হয়ে স্ত্রীদের সঙ্গে স্নান করতে নামতেন কিষণ সিংহ আর এটা ছিল তার শখ। রাজা কিষণ সিংহের রাজমহলে ৪০ জন রাণী থাকতেন। রাজার স্নানের সময় এই রাণীরাও নাকি নগ্ন হয়ে পুলে নেমে পড়তেন।
বিলাসবহুল এই জীবনকে আরো রঙিন করতে রাজমহলের সামনে গোলাপি মার্বেলে সুইমিং পুল বানিয়েছিলেন কিষণ সিংহ। সেই সুইমিং পুলে যাওয়ার রাস্তা বাঁধানো হয়েছিল চন্দন কাঠে। সুইমিং পুলে নামার জন্য চন্দন কাঠের সিঁড়িও বানানো হয়েছিল। পুলের মধ্যে ২০টি চন্দনকাঠের পাটাতন এমনভাবে রাখা হয়েছিল যে, এক একটি পাটাতলে দুইজন করে রানি আরামসে দাঁড়াতে পারতেন।
রাজা কিষণ সিংহের নির্দেশে প্রত্যেক রানিকেই হাতে মোমবাতি নিয়ে পুলের সিঁড়ি থেকে একদম সিড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত দাঁড়াতে হতো। মোমবাতি হাতে রানিরা পুলে এসে হাজির হলে নিভিয়ে দেয়া হত রাজপ্রাসাদের সমস্ত আলো। রানিরা পুলের সামনে এসে দাঁড়ানোর পরে রাজা পুলে আসতেন। সুইমিং পুলে নামার সময় এক এক করে হাত ধরে রাণীদের পুলের পানিতে ধাক্কা মেরে ফেলতেন। কেবল পছন্দ মতো একজন রাণীকে বাহুডোরে নিয়ে নিতেন। রাজা পুলে নামলে নগ্ন অবস্থায় হাতে মোমবাতি নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে হত রাণীদের।
রাণীদের উদ্দেশ্যে কিষণ সিংহের কঠোর নির্দেশ ছিল- মোমবাতি যেন না নেভে। নাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যে রাণীর হাতের মোমবাতি জ্বলত, তাকে নিয়ে নিজের খাসমহলে যেতেন রাজা। এর মানে, ওই রানি সেই রাতে রাজার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ পেতেন। এভাবেই নারীসঙ্গ উপভোগ করতেন রাজা কিষণ সিংহ।