|
“””””””””” মনে পরে “”””””””
—————উৎপল চক্রবর্তী।।।
মনে পরে সেদিন তুমি আর আমি হাতটা ধরে হেঁটে ছিলাম,
সমুদ্র সৈকতে, কতো স্বপ্নের জাল বুনে, দেখেছি ঐ দুর দিগন্তে, যেখানে মিশেছে আকাশ আর মাটির মিলন মোহনা।।
সে স্বপ্ন আজ ধুলিসাৎ,
জানিনা কি হলো, হয়তোবা কিছু হয়েছে ভুল, সেই ভুল নিয়েই কি বাঁচতে হবে, সারাটা জীবন।
মানিনা আমি, এ সিদ্ধান্ত, ফিরে এসো, আমি ক্লান্ত, আমি আজ সবার কাছে এক অযথাই মানুষ।
আমি আজ অবরূদ্ধ নিজের কাছে নিজে।
ফিরে এসো আর পারছি না,
আমি চিৎকার করে কান্না করতে ও পারছি না।
বন্ধু তোমার কি মনে পরে না, সমুদ্র সৈকতের হাত ধরে হাঁটা।
*******ঘুড়ি*******
———-উৎপল চক্রবর্তী,
নাটাই তুমি হাতে রেখে,
উড়িয়েছো ঘুড়ি নীল আকাশে,
উড়ছি আমি দিবানিশি,
চোখে রঙিন চশমা দিয়ে,
সব কিছু যে গেছি ভুলে,
তোমার নাটাইর ঘুড়ি হয়ে।।
বুঝেছিলাম আমি এভাবেই যে,
যাবে কেটে সারাটি জীবন ভরে,
ঘুড়ির সুতুর লেজটা যে,
রয়েছে তোমার হাতে,
ক্ষনকালেও বুঝিনি আমি,
ঘুড়ির নাটাই তোমার হাতে।।
আকাশে যখন ছিলাম আমি,
ঘুড়ির সুতোয় গাঁয়ের বলে,
কাটছি কতো অন্য ঘুড়ি,
এই খেলাতেই ছিলাম মেতে,
মনের আনন্দে আত্মহারা,
পাপ-পূণ্যের হিসাব হবে,
অন্য ঘুড়ির সুতো কাটছি বলে।।
বলি আমি নাটাই বাবু,
নাটাই হাতে ছিলে তুমি,
আমার কি বলো দোষ,
নাচতে তুমি যেমনি বলেছো,
নেচেছি আমি তেমনি করে,
এখন ঘুড়ির কি বলো দোষ।।
“” এই বসন্তে ““
উৎপল চক্রবর্তী
কুহু কুহু কোকিলের ডাক,
হৃদয়ে বেজে যায়।।
মনে হয় যেন কি যেন,
বলতে চায়,না বলা মোর কথা,
কৃষ্ণ চুরা খোঁপায় গুঁজে,
জমির আইল ধরে,
দুহাত মেলে, ফাল্গুনের,
বাতাসের সাথে, মিতালী করে,
দৌড়ে চলে ঐ তেপান্তরে,
কি বলছিস ওরে কোকিল,
এই বসন্তে,বলোনা মোর কানে,
বলে দিস তাকে তুই,
সে যেন আসেনা মোর কাছে,
তার কথা শুনলে মোর,
এ— দুচোখ লজ্জায় যায় যে বুজে।।
————– সমাপ্ত ————-
লেখার তারিখ:-২৯/১০/২০১৯ ইং- রোজ :- মঙ্গলবার,বাটাজোর,নিজ বাড়িতে,রাত :-১১ টায়।