রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- সস্তা এবং সুস্বাদু ফল। পুষ্টিগুণ যেকোনো ফলের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়। আবার দ্রত শক্তি জোগাতেও এর বিকল্প নেই বললেই চলে। বলছি কলার কথা। অতি পরিচিত এই ফলটিতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান। এটি আমাদের শরীরের নানা উপকার করে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বেই নারীদের মধ্যে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুণ। ঠিক এ কারণেই তো মেয়েদের প্রতিদিন দুটি করে কলা খাওয়া প্রয়োজন। কারণ নিয়মিত এ ফলটি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে হার্টের স্বাস্থ্যের এতটাই উন্নতি ঘটে যে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে নানাবিধ করোনারি হার্ট ডিজিজও দূরে থাকে।
প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারীরই মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন শারীরিক ও মানসিক নানা অসুবিধার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে পিরিয়ডের সময়কার মুড সুইং এবং শারীরিক কষ্ট থেকে যদি দূরে থাকতে হয়, তাহলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা যোগ করুন। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, যা পিরিয়ডের সময় শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে কলা খেতে হবে নিয়মিত। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তে মিশে যাওয়া মাত্র মস্তিষ্ক এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে নার্ভসেলের মধ্যে যাতে ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটি ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। আর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়লে মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটেই, সেইসঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা বাড়তেও সময় লাগে না।
হজম ক্ষমতা যাতে দুর্বল হয়ে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতে নিয়মিত কলা খাওয়া জরুরি। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত ফাইবার, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি বদহজম এবং গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ কমাতেও দারুণ কাজ করে।