বরিশাল অফিস:- জেলার হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামে মধ্যযুগীয় কায়দায় রায়হান বাবুর্চি (২৫) নামের এক যুবককে অমানুষিক নির্যাতনের পরে হাত ও পা বেঁধে বস্তা ভর্তি করে মাটি চাঁপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর স্থানীয়রা জীবিত অবস্থায় মাটি চাঁপা দেয়া ওই যুবককে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
মাটি চাঁপা দেয়া অবস্থায় এলাকাবাসী রায়হানকে উদ্ধার করার একটি ভিডিও শুক্রবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নির্মম নির্যাতনের শিকার ওই যুবক ডিক্রির চর গ্রামের আব্দুল কাদের বাবুর্চির পুত্র। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার সকালে হাসপাতালে শষ্যাশয়ী নির্যাতনের শিকার যুবক রায়হান সাংবাদিকদের জানান, গত ১৯ ফেব্রæয়ারি রাত ১০টার দিকে সে ছয়গাঁও বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে একটি ব্রিজের কাছে পৌঁছলে ৮/১০ জনের একটি দল তার পথরোধ করে গলায় ছুরি ধরে মুখে কাপড় এবং হাত ও পা বেঁধে র্নিজন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নির্মামভাবে নির্যাতনের পর হত্যার উদ্দেশ্যে মাটি খুড়ে বস্তায় ভরে গর্তে ফেলে মাটি চাঁপা দিয়ে রাখে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০ ফেব্রæয়ারী সকালে তিনি ওইস্থান থেকে যাওয়ার পথে মানুষের গোঙ্গানীর শব্দ পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করেন। তখন স্থানীয়রা ছুটে এসে মানুষ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে হিজলা থানা পুলিশকে খবর দেয়। হিজলা থানার এসআই মোঃ ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক তিনি একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবক রায়হানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শনিবার সকালে রায়হানের সাথে কথা বলে এসআই ফারুক হোসেন আরও জানান, ঘটনার সময় ৮/১০ জন থাকলেও সবাইকে সে চিনতে পারেনি। তবে দুইজনকে সে চিনতে পেরেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে রায়হানকে দেখতে গিয়েছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশাপাশি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।