বরিশাল অফিস:- যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে অমানুষিক নির্যাতন করেছে স্বামী শাওন সরদার (৩৭)। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরদারপাড়া থেকে পাষন্ড স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই সমীরণ মন্ডল এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, এক সন্তানের জননী হেপি বেগমকে (২১) কয়েক মাস যাবত যৌতুকের দাবিতে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী শাওন সরদার। সম্প্রতি সময়ে মারধর থেকে রেহাই পেতে হেপি বেগম তার বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা এনে স্বামীকে দেওয়ার পর কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল। অতিসম্প্রতি রড সিমেন্টের ব্যবসার নামে পূর্ণরায় ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ফের নির্যাতন শুরু করা হয়। এরইমধ্যে যৌতুকের দাবিতে হেপি বেগমকে মারধর করে তার বাবার বাড়ি শহরের রূপাতলী আদর্শ সড়কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত দুইদিন পূর্বে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাসায় টাকা ছাড়া আসলে বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা। শুক্রবার নির্যাতনের একপর্যায়ে হেপি বেগমকে মাথা ন্যাড়া করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় পাষন্ড শাওনের মা নির্যাতনের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করলেও তিনি কোন প্রতিবাদ করেননি।
নির্যাতিতা হেপি বেগমের মামা আব্দুর সাত্তার জানান, বিগত পাঁচ বছর আগে সামাজিকভাবে হেপিকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী শাওন যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই হেপি বেগমকে নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে সম্প্রতি সময়ে শাওনকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার পর সে মাদক সেবন করে পুরো টাকা ব্যয় করে ফেলে। পরবর্তীতে আবার ব্যবসার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
এসআই সমীরণ মন্ডল আরও জানান, নির্যাতিতা হেপি বেগম বাদি হয়ে শনিবার বিকেলে স্বামী শাওন সরদারকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাওন সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।