✪______________
করোনা সন্দেহে গতরাতে ও আজ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে! আরও কতশত-হাজার মানুষ যে করোনা ইনফেকশন নিয়ে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা কেউ জানে না! টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়ে পঙ্গপালের মতো গ্রামে এসেছে লাখেলাখে মানুষ! তারা মানেনি কোনো নিয়মনীতি! গ্রামের মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে! কেউ জানে না কে এই ভাইরাস বহন করছে নিজের শরীরে! প্রাথমিক অবস্থায় কারো শরীরে থাকলেও তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ করে না এই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)! সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ হলো- বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালসহ বরিশাল বিভাগেই করোনা টেস্টের কোনো ল্যাব নাই! এমনকি টেস্টিং কিট পর্যন্ত নাই দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল শেরে-বাংলা মেডিকেলে!
উন্নয়নে নাকি এতকাল ভাসিয়ে দিয়েছেন বরিশালের রথী-মহারথীরা! সিঙ্গাপুর সিটিও বানিয়েছেন কেউ! এবার তাদের সিঙ্গাপুরে কুকুর-বিড়ালের মতো লাশ পড়ে থাকার অপেক্ষা! আবাল বাঙালি এখনো উৎসব করে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানছে না সোশ্যাল ডিস্টেন্সসহ কোনো ধরনের সরকারি নির্দেশনা! সামনে এক কঠিন ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে!
কী কঠিন, কী করুণ, কী মর্মান্তিক এই মৃত্য! মৃত্যুর আগে মানুষটা বা তার পরিবার-পরিজন নিশ্চিত হতেও পারছে না যে তার করোনা হয়েছিল কিনা! তবুও ভয়ে কেউ কাছে যাচ্ছে না! জানাজা হচ্ছে না! ঠিকমত কাফন-দাফন হচ্ছে না! লাশ রেখে পালিয়ে যাচ্ছে স্বজনরা! উহ্, কী ভয়ঙ্কর! কী করুণ আর মর্মপীড়াদায়ক এই মৃত্যু!
হাসরের ময়দানে সবাই “ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি” করবে বলে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে। শেষ বিচারের সেইদিনে আপন পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন কেউ কাউকে চিনবে না! মহান আল্লাহ্পাক হয়তো করোনায় মৃতদের দিয়ে কঠিনতম সেই শেষবিচার দিনের একটা ছোট্ট ডেমো দেখাচ্ছেন আজ অবিশ্বাসী মানুষদের!
সবচেয়ে নিদারুণ সত্যি কথাটা হলো,- হাসপাতালে ভর্তি হলেও করোনার কোনো চিকিৎসা নেই। কোনো এন্টিবায়োটিক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করছে না! কারণ, এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে এ ভাইরাসটা প্রতিনিয়ত তার জিন মিউটেশন করছে! তাই উচ্চশক্তিসম্পন্
তাই করোনায় আক্রান্ত মানেই যেমন মৃত্যু নয়, তেমনি শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল থাকলে পৃথিবীর কোনো ডাক্তার কিংবা ঔষধ করোনাভাইরাস থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। তাই সচেতনতাই একমাত্র বাঁচার উপায়। এজন্য আপনি যাতে এই শক্তিশালী গোপন শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত না হন এজন্য ঘরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব (সোশ্যাল ডিস্টেন্স) বজায় রাখতে হবে। এছাড়া বাঁচার কোনো পথ নেই। বাঁচার পথ থাকলে বিশ্বের বাঘাবাঘা ডাক্তাররা করোনায় মারা যেতেন না! তাই ঘরে থাকুন, নিজে বাঁচুন এবং দেশকে বাঁচান……
– আরিফ আহমেদ মুন্না
লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট।
২৯ মার্চ, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।