রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- ঢাকায় প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি জার্মানি ফেরত ফয়সাল শেখ। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। করোনাকে জয় করে ফয়সাল এখন পুরোপুরি সুস্থ।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে কথা বলেন ফয়সাল।
ফয়সাল প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমি জার্মানিতে পড়াশোনা করছি। ১ তারিখ ছুটি কাটানোর জন্য দেশে আসি। ১০ দিন পর আমার খুব খারাপ লাগে। শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। আমার পরিবার ও সবার নিরাপত্তার জন্য আমি নিজে আইইডিসিআর যাই টেস্ট করানোর জন্য। টেস্ট করার পর তারা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। একদিন পর জানায় পজিটিভ এসেছে।
সে সময় কিছুটা ভয় পেলেও আইইডিসিআর’র সকল নিয়ম মেনে চলেন ফয়সাল শেখ। জানান, আইইডিসিআর আমাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে চাইলে রাজি হই। কুয়েত মৈত্রী হসপিটালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখানে আমি ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকি। আমার বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। ১০ দিন পর বারবার টেস্ট করার পর নেগেটিভ আসে। এরপর আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার পরিবারের কাছে ফিরে যাই।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের কাছে একটাই অনুরোধ- করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বড় ব্যাপার বাসায় থাকা, ঘরে থাকা। যতদিন ঘরে থাকতে বলা হয়েছে ততদিন ঘরে থাকুন। তাহলে আমরা সবাই মিলে এই বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারবো। এরকম একটা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো।
সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নেওয়া ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানান ফয়সাল শেখ।
করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ফয়সালকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব খুশি তুমি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছ। মায়ের সন্তান মায়ের কোলে ফিরে গেছে।
তিনি জানতে চান, তোমার পরিবারের কারো কোনো অসুবিধে হয়নি তো। এর উত্তরে ফয়সাল জানান, আল্লাহর রহমতে আমার পরিবার, বা বন্ধুবান্ধবের কারো কোনো সমস্যা হয়নি। আইইডিসিআর থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পর্যবেক্ষণ করেছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ফয়সালকে এখানে সবাই কীভাবে গ্রহণ করবে সেটি নিয়ে আমাদের কিছুটা সংশয় ছিল। কিন্তু সবাই তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। এসময় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।