বরিশাল অফিস :- করোনা প্রভাবে দেশের বিভিন্ন শ্রেনী ওপেশার মানুষের মতো চরম বিপাকে পরেছেন নগরীসহ জেলার অধিকাংশ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিম ও খাদেমরা। তারা জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা কম হওয়ার ফলে মসজিদ ফান্ডের অবস্থা খুবই খারাপ। বিভিন্ন এলাকায় সরকারী ও বেসরকারিভাবে কর্মহীন পরিবারগুলোর মাঝে কয়েকদফায় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলেও ইমাম ও মুয়াজ্জিমদের ভাগ্যে তা জোটেনি।
নগরীর একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে মনের কস্টগুলো বলে তিনি কলেন, এবার আর মসজিদে ইফতারির কোন আয়োজন করা হচ্ছেনা। আগে ইমামতির পাশাপাশি ২/৩টা প্রাইভেট পড়াতাম। তাতে আলহামদুলিল্লাহ পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই চলে যেতো। কিন্ত করোনা ভাইরাসের কারনে এই একমাস যাবৎ কোথাও প্রাইভেট পড়াতে যেতে পারছিনা। অথচ বাসা বাড়া বকেয়া পরেছে। বাসায় খাদ্য সামগ্রী নেই।
আগে মসজিদ ভরা মুসুল্লি হতো। নিয়মিত দান বাক্স ভরে যেত। যা দিয়ে মসজিদের বিদুৎ বিলসহ যাবতীয় খরচ মেটানো হতো। বর্তমানে মসজিদের জন্য টিস্যু পেপার কেনার টাকাও নেই। মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দরাও এখন আগের মতো খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। করোনা মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশে মসজিদে মুসুল্লী না আসায় বর্তমানে আমরা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।
নগরীর চকবাজার জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব মির্জা মাওলানা নূরুর রহমান বেগ জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবার মসজিদে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন ইফতারের আয়োজন করা হবেনা। তারাবিহর নামাজে ইমাম মুয়াজ্জিনসহ মোট ১২জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। তিনি আরও জানান, অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিমের বেতন হয় মুসুল্লিদের টাকায়। এছাড়া মসজিদ ফান্ডের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে মুসুল্লি। আর মুসুল্লি না হলেতো মসজিদের খরচ ও বেতন বহন করা কঠিন ব্যাপার। নগরীসহ জেলার অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিম পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ইমাম সমিতির সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা যদি আমাদের কথা মাথায় রেখে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করেন তাহলে হয়তো কিছুটা স্বস্তির ফিরে আসবে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিমদের মধ্যে।