রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্প ও ইপিজেডে চাকুরি প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দাখিলের নিয়ম থাকায় এখানে করোনা টেস্টের হার বেশি।
অনেকে অন্য জেলা থেকেও এখানে আসেন শ্রমিক ও কর্মচারি পদে চাকুরির জন্য। এই সকল চাকুরি প্রার্থীদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক।
পরীক্ষায় হাজির হওয়ার আগেই করোনা নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। ফলে অসহায় বেকার যুবকরা ৭শ’ টাকা দিয়ে রিপোর্ট নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘বাইরের যারা তাদের কাছ থেকে ২শ’ টাকা করে নেয়। তবে ৭শ’ টাকা নেয়ার কথা নয়’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ৭শ টাকা না দিলে রিপোর্ট মেলেনা। অথচ রিপোর্ট নিতে কোন রকম অর্থ নেয়া একেবারেই বেআইনি।
শুধুমাত্র টেস্টের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি সংশ্লিষ্ট ল্যাবে গ্রহন করা হয়।
হাসপাতালের পরিসংখ্যান সহকারি নাজনিন জানান, শনিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত মোট ২হাজার ২৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এরমধ্যে শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৫২ জনের নমুনা পজিটিভ। তিনি বলেন, রিপোর্ট দেয়ার সময় কোন রকম টাকা নেয়া হয়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মকর্তাও জানান রিপোর্ট দিতে অর্থ নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজি (ইপিআই) মো: ইয়ার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ২৫ শে জুলাই থেকে নতুন নিয়মানুযায়ী প্রতি নমুনা টেস্টের জন্য ২শ’ টাকা করে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে জমা দিতে হয়।
আমাদের এখান থেকে বেশ কিছু নমুনা এর আগে পাঠানো হলেও ২৯ শে জুলাই টেস্ট হয়েছে।
ফলে এগুলোর জন্য ম্যাডাম (উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) নিজ উদ্যোগে টাকা জমা দিয়েছেন। কারো কাছে চেয়ে নয়, কেউ খুশি হয়ে কিছু টাকা দিলে আমরা নিয়েছি।
আমরা করোনার নমুনা সংগ্রহ পাবনায় নিয়ে যাওয়া ইত্যাদির জন্য যে খরচ হয় তার কিছুই পাইনা।