সর্বশেষ খবর
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জন হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির ফরাজি (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
বাইতুস সালাত জামে মসজিদ থেকে দগ্ধ অবস্থায় যে ৩৭ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। শনিবার রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এরপর রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা যান জুলহাস উদ্দিন (৩০), শামীম হাসান (৪৫) ও মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫) ও আবুল বাশার মোল্লা (৫১)। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জন হয়।
রাতে মারা যান বরিশালের বাকেরগঞ্জের বারঘড়িয়া গ্রামের সোবাহান ফরাজীর ছেলে মনির ফরাজি (৩০)। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার তল্লা চামারবাড়ি বাইতুল সালাত জামে মসজিদে ছয়টি এসির বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি জমার পর সেখান থেকে তিতাস গ্যাস লাইনে লিকেজ দেখা গেছে।
মসজিদের মেঝের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে গ্যাস বের হতে দেখা যায়।
ঘটনার পর রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে সংকটাপন্ন ৪০ জনকে ভর্তি করা হয়।
এদিকে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। শুক্রবার রাত ১টার দিকে রোগীদের স্বজনদের চাপে বার্ন ইন্সটিটিউটের প্রধান ফটকটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মিয়া জানান, এশার নামাজ পড়ার সময় দোতলা মসজিদের ছয়টি এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে মসজিদের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায় এবং মসজিদ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত মসজিদের ইমাম মাওলানা মালেক নেসারী (৬০) ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনসহ (৫০) প্রায় ৪০ জন মুসল্লিকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এরপর তাদের শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, দগ্ধদের মধ্যে অনেকের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে ঝলছে গেছে। আহতদের অনেকের হাত পা কেটে রক্তাক্ত হয়েছে। মসজিদের ফ্লোর রক্তে ভেসে যায়।