শৈশব
রুকাইয়া সুলতানা মুন
দু’দন্ড ঝিমুনি আমাকে শান্তি দেয়
বক্ষ শীতল করে বাবলা গাছের সারি,
ফসলের মাঠে পায়ে হাঁটা মেঠোপথ।
সে পথে এগোলে দেখবে আমার শৈশব
কমলা রদ্দুর ফসলশূন্য হেমন্তের মাঠে_
যেখানে নাড়ায় শুকাতে দেয়া লাল সোয়েটার।
কত সকাল গড়িয়েছে বিকেলে
খেলেছি বর-বউ,তাড়িয়েছি শালিক চড়ুই
ধান শুকানোর মাঠে।
কান পাতলেই স্কুলের ঘন্টা এখনো শুনি
বগলে বই চেপে সে কি দৌড়;
তখন কেবলি ভাবতাম কবে বড় হব?
বাসে চেপে একা একা শহরে যাব
চাটনি লজেন্স কিনে খুব করে খাব।
এখন বড় হয়েছি_
শহর ছাড়িয়ে রাজধানীতে থাকি।
কিন্তু মনটা পড়ে থাকে সেই মাটির আঙিনায়।
যেখানে টুনি বেয়ে চালায় ওঠে
লাউয়ের ডগা; উঠানে মুরগির ছোটাছুটি।
খুব ইচ্ছে করে_
ছানাগুলো ধরার ছলে মুরগীটাকে রাগিয়ে দিতে।
মনে পড়ে_
লাফিয়ে পড়ে খালের পানিতে দাপাদাপি
তারপর কাপাকাপি
যতনা শীতে; তারচেয়ে বেশি
মায়ের লাঠির ভয়ে।
আমি আবার ছোট হতে চাই
ফিরে পেতে চাই নিষ্পাপ শৈশব
ছুটতে চাই সড়ষে ক্ষেতে
যত হলুদ দুহাতে ঠেলে
এক টুকরো সবুজের আশায়।