চীনাবাদামের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
চীনাবাদাম খেতে কমবেশী সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু বাসায় কিনে এনে চীনাবাদাম খাওয়া খুবই কম হয়। বাইরে গেলে তাও যদি পার্কে বা অন্যান্য স্থানে বসা হয় তখনই চীনাবাদাম খান অনেকে। কিন্তু বাদাম খাওয়ার অনেক ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন একমুঠো চীনাবাদাম খেলে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর হয় খুব সহজেই।
১) কোলেস্টোরল কমায় কোলেস্টোরল সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যাসহ নানা শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে এই বাড়তি কোলেস্টোরল। চীনাবাদাম দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টোরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। বাদামের ভালো ফ্যাট কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারয়েড কমিয়ে ফেলে কোনো ধরণের ওজন বাড়ানো ছাড়াই।
২) রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে চীনাবাদাম রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তায় চীনাবাদাম বা চীনাবাদামের বাটার খেলে প্রায় পুরো দিনই সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন অনায়াসেই।
৩) ওজন কমায় ওজন কমানোর জন্য কিছুটা ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে। আর চীনাবাদামে রয়েছে এমনই কিছু ভালো ফ্যাট। এর ক্যালোরি এবং ফ্যাট ওজন বাড়ানোর চাইতে ওজন কমিয়ে রাখতে বিশেষ কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন অল্প হলেও চীনাবাদাম খাওয়া উচিত ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও।

৪) স্মৃতিশক্তি উন্নত করে বয়স হতে না হতেই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া শুরু করে অনেকেরই। এর কারণ হচ্ছে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। চীনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। চীনাবাদামের ভিটামিন বি৩ মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় খুব হুটহাট নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সমস্যাকে মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। চীনাবাদাম এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই উন্নত করতে কাজ করে থাকে। চীনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে।
তথ্য সংগ্রহঃ শাহজাহান সরকার।