অতিমহামারিকালে আরো বেশি মানবিক হই
কামরুল হাসান সোহাগঃ
করোনাকালে মানুষের মধ্যে এক বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। মানুষের মধ্যে বাঁচার আকাংখা অনেক বেড়ে গেছে। এই সময়ে একজন সুস্থ মানুষের মধ্যে যে আচরণ, সেই মানুষ কোভিট-১৯ আক্রান্ত হলে এবং সেই মানুষটি মৃত্যুবরণ করলে মৃত ব্যাক্তি এবং তার পরিবারের অনান্য মানুষের সাথে সমাজের সুস্থ সামুষদের আচরণ ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এক জটিল সমীকরণে রূপ নিয়েছে। কেউ বেঁচে থাকলে, রোগী হয়ে গেলে এবং মরে গেলে বিভিন্ন পর্যায়ে বর্তমানে যে সকল অমানবিক ঘটনা ও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন তা বড়ই হৃদয় বিদারক।
আমাদের সমাজের কুসংস্কারের কারণে অনেকে এটাকে অভিশাপ, পাপের প্রায়শ্চিত্ত মনে করে। করোনারোগীকে খারাপ চোখে দেখা হয়, এড়িয়ে চলা শুরু হয়।
করোনারোগী দেখলেই সাধারণ মানুষের সন্দেহ, ভয় এবং ঘৃণা সেই রোগীকে বড় বেশি অসহায়, দুর্বল করে তোলে। এই অবস্থা বুঝতে পরে রোগীর মধ্যে চরম অপমান ও অপরাধবোধ সৃষ্টি হয়। যা তার বেঁচে থাকার পথে চিন্তা করতে বাধা দেয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় রোগীকে অপরাধী বানানোর ফলে জীবনের প্রতি তার চরম ঘৃণা জন্মে।
আঁধার যত গভীর হোক না কেন আমাদের হতাশ হলে চলবে না। আসুন প্রত্যেকে মনকে শক্ত করি। করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যাক্তিকে ভয় না পেয়ে সাধ্যমতো মর্যাদার সাথে দাফনে সহযোগিতা করি। তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে ও সমবেদনা জানাতে এগিয়ে আসি। করোনার ছুঁতোয় শুধু সন্দেহবশত কাউকে হেয় বা ঘৃণা না করি। পশুত্বে নেমে যাওয়া মানুষগুলোর মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলি- আর সবাইকে বলি বিপর্যয়ের এই ঘোর অমানিশায় ধৈর্য ধরুন। আলোয় রাঙা প্রভাত বেশি দূরে নয়।
লেখক : সহ সম্পাদক- ডেইলী রাঙা প্রভাত,
প্রধান পৃষ্ঠপোষক- সম্ভাবনার কলসকাঠী।