রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ– জ্ঞানার্জনে এসো সেবার্থে যাও’ মেডিকেল শিক্ষার এই দীক্ষায় ব্রত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় সদা নিয়োজিত এনআইসিভিডি তে কর্মরত চিকিৎসক সাদামনের মানুষ ডাঃ শামিম আহমেদ।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশ যখন লকডাউন, রোগী এমোন কি অনেক চিকিৎসকও যখন করোনা সংক্রমনের ভয়ে আতংকিত ঠিক সেই মূতুর্তেও ডাঃ শামিম তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পড়ে হাসপাতালের সরকারী নির্দেশনা মেনে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকরা রোগী দেখা বন্ধ করে বাসায় আবদ্ধ রেখে নিজেকে সুরক্ষিত রাখছেন সেই সময়েও রোগীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে হাসপাতালের সরকারী দ্বায়িত্ব পালন শেষে ব্যাক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। করোনায় লকডাউন সত্ত্বেও তিনি এক দিনের জন্যেও রোগী দেখা বন্ধ করেননি। করোনাকালে জরুরী প্রয়োজনে সেলফোনেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চলেছেন তিনি।
এই প্রতিবেদক এর সাথে আলাপকালে জনকল্যাণমুখী সামাজিক সংগঠন সম্ভাবনার কলসকাঠী এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ডঃ শামিম আহমেদ কেবলমাত্র একজন দক্ষ চিকিৎসকই নন পাশাপাশি তিনি একজন মহৎ হদয়ের মানুষও। তার কাছে রোগীর চিকিৎসা এবং সুস্থতাই মুল বিষয়। অনেক সময় গরীর অসহায়, দুঃস্থ্য রোগীদের কোনো পরামর্শ ফি ছাড়াই চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমোনকি অনেক গরীব রোগীকে সাধ্যমত নিজের অর্থে ওষুধপত্রও কিনে দেন স্যার। বরিশালের রোগীদের কাছে তিনি একজন মানবীক ডাক্টার হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে আলাপকালে সদা হাস্যোজ্জ্বল ডাঃ শামিম আহমেদ জানান, তিনি কেবলমাত্র নিজের নাম ও খ্যাতির জন্যই মেডিকেলে পরাশুনা ও জ্ঞানার্জন করেননি, অসহায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্যেই তিনি চিকিৎসক পেশায় যুক্ত হয়েছেন। তাই তার কাছে এসে যেন কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ফেরত না যায়, সকল রোগীই যাতে চিকিৎসা নিয়ে খুশির সাথে ঘরে ফিরে যেতে পারেন, তাতেই তার আনন্দ। সুস্থ্য শরীরে আজীবন রোগীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত থাকার ইচ্ছা তার।
ব্যাক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধু প্রেমী এই চিকিৎসক বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়ন এ জন্মগ্রহন করেন।
এই গুনিজন চিকিৎসক ইতিমধ্যেই এফসিপিএস (মেডিসিন) এম ডি (কার্ডিওলজি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য এই অভিজ্ঞ চিকিৎসক পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বরিশাল এ নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।