বিশেষ প্রতিনিধি।। দু্ই হাজার সতেরো সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের এক শিক্ষার্থী গবেষণা শেষে কিছু সাদা রঙের ইঁদুরকে পরিত্যাক্ত করেন, এবং প্রকৃতিতে ছেড়ে দিতে বলেন।
ওই চারটি ইঁদুর এতোই ছোট ছিল যে, সালাহউদ্দিন চিন্তা করেন এগুলো ছেড়ে দিলে বিড়াল কুকুর বা অন্য কোন প্রাণী এগুলোকে খেয়ে ফেলবে। তাই বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে ইঁদুরগুলোকে বাড়ি নিয়ে লালন পালন করতে থাকেন।
পরে ওই ইঁদুর বাচ্চা দিলে, ২০টি বাচ্চা ইঁদুর কিনে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক। তখন সালাহউদ্দিন বুঝতে পারেন, ইঁদুরও কেনা-বেচা হয় এবং এখান থেকে অর্থ উপার্জন সম্ভব।
সে চিন্তা থেকেই ধীরে ধীরে ওই ইঁদুর দিয়েই নিজের একটি ইঁদুরের খামার গড়ে তোলেন, যেখান থেকে এখন দেশের নানান জাগায় ইঁদুর সরবরাহ করেন। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন প্রায় দশ হাজার ইঁদুর।
তবে এই খামার গড়তে গিয়ে নানান মজার ও বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখিও হয়েছেন। বিবিসির শাহনেওয়াজ রকির সাথে তার সে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন রাজশাহীর সালাহউদ্দিন।