কেএম সোহেব জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি।।বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ কালাম জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা কালীন অবস্থায় জমি নামজারি করার নামে মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে চাঁদা বাজি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামের একাধিক ভুক্ত ভোগীর সাথে আলাপ কালে মৃত দেলোয়ার ফকিরের স্ত্রী মঞ্জু বেগম -৫২ তিনি বলেন কোন এক বন্ধের দিন ভূমী অফিসের কালাম আমার বাড়ি আসেন এবং জমি নামজারির কথা বলে আমাকে ফাঁদে ফেলে নাম জারির নামে নগদ ৫০০০ টাকা হাতিয়ে নেয় কালাম। নামজারি চলাকালীন অবস্হায় কালামকে আরো ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান মঞ্জু বেগম।
কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও তার নামজারি করে দেয়নি ভূমি অফিসের পিয়োন কালাম। একই গ্রামের আলঙ্গির চৌকিদারের কাছ থেকে নামজারির নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন ১৫০০০ টাকা, হারুন চৌকিদারের সাথে ৫০ হাজার টাকার কন্টাক করে নগদ ১২০০০ টাকা হাতিয়ে নেয় চাঁদাবাজ কালাম। ফরিদ ডাক্তারের স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা। আবদুল হকের কাছ থেকে ১৫০০ শত টাকা, ফেরদাউস ইসলামের কাছ থেকে ৩৫০০ টাকা, আগরপুর গ্রামের নান্টু মালাকারের স্ত্রী শোভা রানীর কাছ থেকে ১৫০০০ টাকা চাঁদা নিলেও উর্ধতন কর্তিপক্ষকে শোভা অবহিত করার পর চাঁদার ১৫০০০ হাজার টাকা ফেরত দেন চাঁদাবাজ কালাম। এমনটি জানিয়েছেন শোভারানী। এ ভাবেই ওই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক সহজ সরল লোকদেরকে ভুল বুজিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে জমি নামজারির কথা বলে চাঁদাবাজি করেছেন অফিস সহায়ক কালাম।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ করিম বলেন,২০২১ ইং তার অফিসে অফিস সহায়ক পদে যোগদান করে জমি নামজারি করার নামে অর্ধ শতাধিক লোকদের কাছ থেকে কালাম বিভিন্ন অংকের চাঁদা আদায় করেছেন বলে জানতে পায় ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা মাসুদ। তাই মাসুদ তার উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কালামের দুরনীতি ও অনিয়মের কথা অবহিত করে দ্রুত কালামকে সরিয়ে দেয়ার কথা জানান এই প্রতিনিধিকে। সে মতে তাকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় ভূমি অফিস সহায়ক কালামকে। জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে ভূমি অফিসে কালাম চাকুরি রত অবস্থায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অফিস সহায়ক কালামের চাকুরী ক্ষেত্রে সর্বত্রই চাঁদা বাজি করে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে ভূমি অফিস সহায়ক আবুল কালামের সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও স্বাক্ষাৎ পাওয়া যায় নাই।
অপর দিকে ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী লোকজন তাদের টাকা ফেরত পাওয়া সহ সরকারের সর্বমহলে চাঁদাবাজ অফিস সহায়ক কালামের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।