বরিশাল অফিস:- বিনা মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী বলেছেন, আমরা বাজার থেকে যে সয়াবিন তৈল ক্রয় করছি তা আদৌ সয়াবিন কিনা তা আমাদের ভাবতে হবে। বাজারে যেদামে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে তাতে করে আসল সয়াবিন পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই আমরা এখন উন্নতমানের সয়াবিন তৈল, সরিষা, বাদাম ও সূর্যমুখী চাষের ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষকরা ইতোমধ্যে ধানের ফলনে তেমন একটা দাম না পাওয়ার কারনে অনেকটা স্থবির হয়ে পরেছে। তাই বিনার সয়াবিন চাষের মাধ্যমে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এজন্য এখন থেকে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার সরাসরি সয়াবিন ক্রয় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রবিবার দুপুরে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বিনা উপকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ হলে বরিশাল অঞ্চলের চাষ উপযোগি বিনা উদ্ভাবিত ডাল ও তৈল ফসলের চাষাবাদ কৌশল শীর্ষক কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক আরও বলেন, আগে আমাদের দেশের মানুষ নিজস্ব খেতের উৎপাদিত সরিষা ও তিল তেল ব্যবহার করতো। সে সময় রোগবালাই ছিলোনা বললেই চলে। এখন আমরা বাজার থেকে যে তৈল ক্রয় করে খাচ্ছি, এই তেলের ভেজালের কারণে হৃদরোগ থেকে শুরু করে বিভিন্নরোগে আমরা দিন দিন বেশি আক্রান্ত হচ্ছি।
মহাপরিচালক আরও বলেন, সরকার (বিনা) পরমানু গবেষনার মাধ্যমে নতুন নতুন জাতের ফসলের বীজ উৎপাদন করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাই আমরা যন্ত্রচালিত কৃষি চাষের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, যাতে কৃষকদের জমিতে কাজে উপকার হয়।
রহমতপুর বিনা উপকেন্দ্রের কর্মকর্তা ড. মোঃ বাবুল আখতারের সভাপতিত্বে ও বিনা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোহেল রানার সঞ্চালনায় কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা, উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের দেড় শতাধিক কৃষক অংশগ্রহন করেন।