সমুদ্র বিজ্ঞান
মুশফিক শুভ
সমুদ্র,
ভীষণ অভিমানে লবনাক্ততা ফিরিয়ে দিতে’ই; পাহাড়- বুক পেতে শুষে নেয় বাতাসের প্রতিধ্বনি।
ধীরে ধীরে,
স্রোতের উপরিপাতনে জমা হতে থাকে জলের সর; গহীনে ভেসে যাওয়া বরফের স্বচ্ছতায়- স্পষ্ট হয়ে ওঠে ব্যাথিত হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি।
আমরা শিখি- সমুদ্র বিজ্ঞান!
অনির্ণীত থেকে যায়-
সমুদ্র থেকে পাহাড়ের দূরত্ব।
সরাইখানা
সমস্ত কোলাহল মুছে যেতে; নিঃসঙ্গ প্রাণের আহ্বানে; বিদীর্ণ আলোয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে- সরাইখানার পথ।
রাত বাড়তে’ই,
হৃদয়ে নেমে আসে অন্ধকার; অথচ, সরাবের পেয়ালায় পেয়ালায়- বাহারি বিন্যাসে আলোর উপরিপাতন।
পর্দার আড়াল থেকে-
ভেসে আসে বিপন্ন শরীরের সুবাস।
আমি,
ফিরতি পথে ফিরে আসি- ধ্রুপদী তৃষ্ণা বুকে নিয়ে।
অধরা
অধরা,
ভাল আছ নিশ্চই?
বহুদিন দেখা হয়নি আমাদের। চৈত্রের হাওয়ার উষ্ণতায় পুড়ে যাচ্ছে স্পর্শ- যা তুমি শীতে পাঠিয়েছিলে, কাচের খামে।
লোক মারফত জানতে পারি, তোমার শহরে এখনো বরফ গলেনি; তুষারে আটকা পড়েছে রেলপথ; সমুদ্র স্থির দাঁড়িয়ে মহাশূন্যে; এখন আর নিয়ম মেনে ল্যাম্পপোস্ট জ্বলে না; অনিয়মটা’ই এক, ছন্দহীন নিয়ম!
বিপরীত তলে-
আমি ভাল আছি;
আজও বৃষ্টিতে ভিজি;
হাওয়াই চটি পায়ে জড়িয়ে পথে পথে ঘুরে ফিরি; ইচ্ছে হলে নীল আকাশে ঘুড়ি উড়াই।
এই শহরে সব’ই ঠিক আছে;
শুধু তুমি নেই বলে’ই- একাকীত্ব নিয়ে রাত আসে; হাওয়ায় হাওয়ায় জোছনা ভাসে; রাতভর আলোগুলো জেগে থাকে।
শুনেছি,
তুমি ফিরলে’ই-
এই শহরের রাতগুলো, আবার ঘুমাতে যাবে!