রফিকুল ইসলাম রনি:- ভালোবাসার নামই প্রেম। ভালোবাসার গভীরতাকে মোহ নামে আখ্যায়িত করেন অনেকে। তাই আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রেমে-ভালোবাসায় মাতোয়ারা হওয়ার দিন আজ। আজ চুপকথা শুনবার ও শোনানোর দিন। প্রেম পিয়াসী তরুণ-তরুণী, ভালোবাসার রঙে রঙিন হবে তাদের হৃদয়। মনের যতো বাসনা, যতো অব্যক্ত কথা মন খুলে হাতে হাত রেখে বলবে প্রেমীও লোকেরা। কপোত-কপোতী পরস্পরকে নিবেদন করবে মনের যতো কথা, জানাবে ভালোবাসা। তবে আজ কারো কারো চুপকথাগুলো হয়ে যাবে রূপকথা। সারাজীবন মনে রাখার মতো গল্প।
তবে শুধু তরুণ-তরুণী শুধু নয়, সব বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি।
ভালোবাসা নিয়ে অজস্র কবিতা আর গান আজ মুখে মুখে মনে মনে সুরে-বেসুরে আবৃত্তি আর গীত হবে। আজ প্রিয়তমার হাত ধরে কিংবা পাশে বসে অনেকেই রচনা করবে নিজেদের ভবিষ্যত।
আজ মুঠোফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা ফেইসবুকের চ্যাটিংয়ে ছোট ছোট কথায় গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের সোপান। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই- মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, প্রিয় উপহার, অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আজকের এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসায় আপন্তুত হতে পারে সবাই। চলবে উপহার দেওয়া- নেওয়া।
আজকের দিনটিকে ঘিরে বরিশালের বিভিন্ন বিনোদন প্রিয় স্থানগুলোতে দেখা মিলবে মিলন মেলার। দিবসটি উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে মাধবপাশা দূর্ঘা সাগর পাড়, বরিশাল-ঢাকা সড়ক পথের সন্ধ্যা ও সুগন্ধ্যার উপর নির্মিত ব্রিজের উপর, বাটাজোর শাহী পার্কসহ বরিশালের বিনোদন স্থান গুলোতে ভিড় জমাবে ভালোবাসা প্রেমীও ব্যক্তিরা। প্রসাশনিক নজরদারিতে থাকবে বিনোদন স্থানগুলো।