রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি জ্বালানী কাঠের দোকান থেকে খাদ্য কর্মসূচির ৩২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান চালের বস্তাগুলো জব্দ করেন। এসময় দোকানদার প্রদীপ দাসকে পুলিশ আটক করে। তিনি উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের মিহারী গ্রামের মৃত সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে ও ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ্র দাসের ভাই।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারের চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের ডিলার আব্দুছ ছাত্তার গত মাসের বরাদ্দের চালের সিংহভাগ হতদরিদ্রদের না দিয়ে প্রদীপ দাসের নিকট বিক্রি করেছেন।
অভিযানকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট ট্যাক অফিসার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লা খান, থানার এসআই শরীফ উদ্দিন, এএসআই কামাল উদ্দিন, এএসআই আবু সাইদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অতিদরিদ্রের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য বর্ণী ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলার আব্দুছ ছাত্তার গত ১০ মার্চ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় সাড়ে ৭ মে. টন চাল উত্তোলন করেন। চালগুলো ২৪৯ জন হতদরিদ্রের মধ্যে ১৯ মার্চের মধ্যে জনপ্রতি ৩০ কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রির কথা।
অভিযোগ রয়েছে সরকারী চালের ডিলারশীপ কাগজে কলমে আব্দুছ ছাত্তারের নামে থাকলেও মূলত তা পরিচালনা করেন বর্ণী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার নাজিম উদ্দিন। তিনি সিংহভাগ কার্ডধারী হতদরিদ্রদের মার্চ মাসের বরাদ্দের চাল না দিয়ে ফকির বাজারের জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের নিকট বেশির ভাগ চাল বিক্রি করে দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জ্বালানী কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৩২ বস্তা সরকারী চাল জব্দ করেন। এসময় পুলিশ তাকে আটক করে। আটক ব্যবসায়ী প্রদীপ দাসের ভাই ইউপি মেম্বার সুবোধ চন্দ দাস জানান, ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী মহিলারা চালগুলো তার ভাইয়ের নিকট বিক্রি করেছে।
এ চাল ক্রয় করা যে বে-আইনি তা সে জানতো না। তবে কোন কোন মহিলা চাল বিক্রি করেছে জানতে চাইলে তিনি করো নাম বলতে পারেননি। ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান