বরিশাল অফিস:- পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে সহযোগিদের নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক ইট ভাটার শ্রমিককে। নিহত শ্রমীকের নাম আবু তাহের (২৬)। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের রুস্তুম আলী মোল্লার ইটের ভাটায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার রাতে সহকারী জেলা পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, নিহত আবু তাহের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার চকবড়া গ্রামের মৃত মোশারফ গাজীর পুত্র। সে (আবু তাহের) দীর্ঘদিন থেকে সাতক্ষীরার লেবার সর্দার এনছের আলীর অধীনে বানারীপাড়ার বাইশারী গ্রামের রুস্তুম আলী মোল্লার ইটের ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিলো।
জানা গেছে, ওই ইটভাটার অন্য গ্রæপের লেবার সর্দার সাইফুল ইসলামের শ্রমিক সাতক্ষীরার একই এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম গাজীর স্ত্রীর সাথে আবু তাহেরের পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিলো। শুক্রবার রাতে নজরুল ইসলামের স্ত্রী ইট ভাটার রাঁধুনি রোজিনা বেগত প্রকৃতির ডাকের কথা বলে ইটের ভাটার পাশের বাথরুমে যায়। কিছুক্ষণ পরে তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাথরুমে সন্নিকটে গিয়ে তার স্ত্রীকে আবু তাহেরের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।
এসময় নজরুল ইসলাম ডাকচিৎকার দিয়ে তার গ্রæপের অন্যান্য শ্রমিকদের জড়ো করে আবু তাহেরকে বেধরক পিটিয়ে অচেতন করে। পরবর্তীতে ওই রাতেই তাকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু তাহেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে স্বরূপকাঠি থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই নিহত আবু তাহেরের পরকীয়া প্রেমিকা রোজিনা বেগম, তার স্বামী নজরুল ইসলাম গাজী, শ্রমিক মিলন মোল্লা, শামীম সরদার ও এনছার আলীকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই একই ইটভাটার শ্রমিক আবু হানিফ বাদি হয়ে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে আটককৃত ওই পুরুষকে বরিশাল জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোজিনা বেগমকে ছেড়ে দেওয়া হয়।