শাহজাহান হেলাল, ফরিদপুর প্রতিনিধি।। ফরিদপুরের মধুখালীতে জমি সংক্রান্ত মামার মিথ্যা প্রতারনা মামলায় হাজাত বাস করেছেন ভাগিনা বাকি মোল্যা নামে এক ব্যাক্তি।
ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪নং আমলী আদলতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর তেলেকান্দী গ্রামের মৃত হাসান মৌলিকের ছেলে মোঃ ইউসূফ মৌলিক (৫৮)আপন সহদর বোন ভানু খাতুন (৬৫) ও বোন পুত্র বাকি মোল্যা (৫০) কে আসামী করে দন্ড বিধি ৪০৬/৪২০ধারায় একটি মিথ্যা প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। মামলা নাং মধুখালী সিআর ৩৩৫/২৫। মামলার তারিখে আসামীগণ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত ভানু খাতুনের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি মোল্যার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। পরবর্তীতে বাকি মোল্যাকে খালাসসহ মামলা খারিজ করেদেন আদালত।
তথ্য অনুসুন্ধানে জানা যায় ভানু খাতুন ইউসুফ মৌলিকের আপন বোন, পৈত্রিক সুত্রে বাড়ীর বিভন্ন দাগের ১৩.৩৪ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হন। ভানু খাতুন ইউসুফ মৌলিকের নিকট কমমুল্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। ২১ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখে জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য মধুখালী সাব-রেজিষ্ট্রেরী অফিসে দাতা ও গ্রহিতা হাজির হয়ে দলিল লেখক চান মিয়ার মাধ্যমে মৌজা মুল্য হিসেবে ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা জমির মুল্য নির্ধারন করে দলিল সম্প্রদান করা হয়। জমির মিউটিশন না থাকায় জমি রেজিষ্ট্রি হয় না। পরবর্তীতে দলিল লেখক চান মিয়া ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহীতাকে বুঝিয়ে ফেরৎ দেন। ইউসুফ মৌলিক সম্প্রদানকৃত দলিল সংগ্রহ করে উল্লেখিত দলিল মুল্য ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা দাবী করে আদালতে একটি মিথ্যা ও প্রতারনা মামলা করেন আপন বড় বোন ভানু খাতুন ও বোন পুত্র বাকি মোল্যার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দলিল লেখক চান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান জমির মৌজা মূল্য ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা দলিলে লিখলেও বোন ভাইকে কম মুল্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। জমি রেজিষ্ট্রিরী না হওয়ায় রেজিষ্ট্রিরী খরচসহ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহীতাকে ফেরৎ দেই। গ্রহীতাগণের দাবীকৃত ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা আদৌ লেনদেন হয় নাই। গ্রহীতা যে মামলা করেছেন সেটি মিথ্যা। উল্লেখ মামলার বাদী ইউসুফ মৌলিকের আপন বোন পুত্র বাকি মোল্যা।