কামরুল হাসান সোহাগ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ- দেশে করোনা সংক্রমনের ৪ মাস অতিক্রান্ত হলো। ইতি মধ্যেই করোনার প্রভাবে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে!কেউ আবার কম বেতনে চাকরি করছেন! কেউ কেউ ব্যবসা হারিয়েছেন! নানা পেশার এসব মানুষ এখন সঞ্চয় ভেংগেই করছেন তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন। অনেকের সঞ্চয়ও শেষ হওয়ায় শুভাকাঙ্ক্ষী বা নিকট আত্মীয়ের শরণাপন্ন হচ্ছেন! এই শ্রেনীর অধিকাংশ মানুষই মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত। সংগত কারণেই লজ্জায় তারা সরকারী বা বেসরকারি ত্রান সহোযোগিতাও চাইতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বেশ কঠিন সময় পার করছেন এসব উপার্জনহীন বা উপার্জন কমে যাওয়া মানুষেরা।
এ বিষয়ে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি হারানো এক যুবক বলেন- করোনা শুরুর পূর্বেও চাকরির আয়ে বেশ ভালোভাবেই চলছিলো ৫ সদস্যদের পরিবার নিয়ে। প্রায় ২ মাস হলো চাকরি হারিয়ে বর্তমানে সঞ্চয় দিয়ে বাসাভারা সহ সংসারের যাবতীয় ব্যায় মেটাচ্ছি। তিনি বলেন এভাবে কর্মহীন থাকলে আর বেশিদিন ঢাকায় বসবাস করা সম্ভব হবেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনকল্যাণমুখী সামাজিক সংগঠন সম্ভাবনার কলসকাঠী’র সভাপতি জনাব সামিম আহমেদ বলেন, করোনার প্রভাবে কর্মহীন এসব মানুষদের জীবন যাপন স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আপাতত বিকল্প আয়ের পথ তৈরি না হওয়া অবধি তাদের সামাজিক সুরক্ষায় নেয়া ত্রান সহ নগত অর্থ সহোযোগিতার আওতায় নিতে হবে। পরবর্তীতে চাকরীর ব্যাবস্থা সহ কর্মসংস্থান সৃস্টিতে ক্ষুদ্র ঋিন দিয়ে তাদের পাসে দারাতে হবে। আর এই পরিকল্পনা কেবল সরকারের একার পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও।