বিশেষ প্রতিনিধি।। পুঁজি সংকট, কেমিক্যালের মূল্য অত্যধিক বৃদ্ধি ও ট্যানারি মালিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় সিরাজগঞ্জের চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। তাই ঈদকে সামনে রেখে চামড়াপট্টিতে নেই কোনো প্রস্তুতি। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন কোরবানি ঈদের কয়েক মাস আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাঙ্গা ভাব দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেই ভাব আর নেই। ইতিমধ্যেই এখানকার অনেক ব্যবসায়ী এই ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা ধরেছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ চামড়াপট্টিতে ৪০ জন চামড়া ব্যবসায়ী ছিল। এখন কমতে কমতে মাত্র তিন জনে এসেছে। যে তিন জন আছেন তারাও ভালো অবস্থায় নেই বলে জানা গেছে। অথচ অতীতে সিরাজগঞ্জে জমজমাট চামড়া ব্যবসা ছিল। শতাধিক শ্রমিক এই চামড়াপট্টিতে কর্মরত ছিলেন। কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে এ সংখ্যা কয়েক গুন বেড়ে যেত। ভোর থেকে চামড়া প্রক্রিয়াজাতের কাজ শুরু হয়ে চলতো রাত পর্যন্ত। এ সময় চামড়ার গন্ধে এলাকায় যাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ত। এদিকে, ছোট ছোট অনেক ব্যবসায়ী আছেন যাদের ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।
এ ব্যপারে চমড়া ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, এখন আর চামড়া ব্যবসা নেই। পুঁজির সংকটের পাশপাশি কেমিক্যালর দাম অস্বাভাবিক দৃদ্ধির কারণে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া চামড়া বিদেশে পাঠাতে জাহাজ ভাড়াও অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে চামড়ার দাম আরো কমে যাওয়ায় আমাদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, অন্যান্য ব্যবসার মতো সরকার যদি এই ব্যবসায় আলাদা লোনের ব্যবস্থা করতো তাহলে আমরা টিকে থাকতাম। তিনি বলেন, চামড়া পাকা করার কেমিক্যালের ড্রামের দাম আগে ছিল ৭৫ হাজার টাকা। এখন সেই ড্রামের মূল্য হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। এ অবস্থায় এখানকার ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন। এখন মাত্র তিন জন টিকে আছি। বর্তমানে তাদেরও টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা করোনার মধ্যেও কোনো প্রণোদনা পাইনি।